বলা হয়, Content Is King for a Website, বুঝতেই পারছেন এক একটি ব্লগপোস্ট একটি ওয়েবসাইটের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। হাজার হাজার ব্লগ পোস্ট করার চেয়ে গুণগত মানসম্পন্ন কয়েকটি ব্লগ পোস্ট আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক বাড়াতে সহায়তা করবে।তাই আজকের আলোচনার বিষয়, কিভাবে একটি মানসম্মত ব্লগ পোস্ট লিখবেন।
একটি ভালো মানের ব্লগ পোস্টগুলো লেখার আগে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো অবশ্যই প্রয়োগ করবেনঃ
১। ব্লগ লিখার ক্ষেত্রে শুরুতেই একটি কনটেন্ট স্ট্রাটেজি তৈরি করুন। প্রথমত খুঁজে বের করুন আপনার ব্লগটির মাধ্যমে আপনি কি অর্জন করতে চান। অর্থাৎ,
আপনি কি ব্লগটির মাধ্যমে আপনার নিজের প্রোডাক্ট বিক্রি করতে চান?
আপনি কি কোন পণ্যের রিভিউ উল্লেখ করে কমিশন উপার্জন করতে চান?
আপনি কি আপনার কোম্পানির বিভিন্ন নিউজ, বা নিকটবর্তী কোন ঘটনা সম্পর্কে লোকেদের জানাতে চান?
আপনি কি কোন নির্দিষ্ট ব্যান্ডের পরিচিতি করাতে চান?
আপনার লক্ষ্য যাই হোক না কেন,প্রতিটি ব্লগ পোস্টের বিষয় বস্তু সেই রিলেটেড হওয়া উচিত।
২। হেডলাইন অথবা টাইটেল নির্বাচনের ক্ষেত্রে সতর্ক থাকুন। একাধিক টাইটেল লিখে রাখুন।সম্পূর্ণ ব্লগটি লেখার পর এদের মধ্যে সবচেয়ে মানানসই টাইটেলটি সিলেক্ট করুন।গবেষণায় দেখা গেছে,কোনো ব্লগের সফলতার ৮০ ভাগ নির্ভর করে এর টাইটেলের উপর।
৩। একটি ব্লগ পোস্ট লেখার শুরুতে এবং চলাকালীন অবশ্যই রিসার্চ করুন। অনেক সময় আমরা ভাবি যে আমরা যা লিখতে চাই সে বিষয়ে আমাদের যথেষ্ট ধারণা আছে, তাই আর রিসার্চের প্রয়োজন নেই।কিন্তু এটি করা উচিত নয়।গুগল, ইউটিউব বা অন্যান্য জায়গা থেকে একাধিক বা রিসার্চ করে তথ্য বা কি-পয়েন্ট সংগ্রহ করতে হবে। এরপর নিজস্ব চিন্তা এবং রিসার্চ থেকে পাওয়া তথ্যগুলো মিলিয়ে নিজের মত করে সুন্দর ও সহজলভ্য ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে।
৪। ব্লগ রাইটিং এর ক্ষেত্রে গ্রামার ও শুদ্ধ বানানের দিকে অবশ্যই লক্ষ্য রাখবেন। গ্রামার ও বানানে ভুল থাকলে পাঠকরা ব্লগটির প্রতি আস্থা হারিয়ে ফেলেন। তাই যেকোনো পোস্ট বা আর্টিকেল প্রকাশের পূর্বে অবশ্যই রিভিশন করতে হবে।
৫। কোন ব্লগ লেখার সময় এটিকে তিনটি ভাগে বিভক্ত করবেন।
আপনি যখন লেখেন, তখন আপনার কেবলমাত্র লিখতে হবে, কোন স্ব-সংশোধন ছাড়াই।আপনি লেখার সময় একি সময়ে সম্পাদনার কাজ করলে এটি আপনার সৃজনশীল চিন্তাভাবনা ব্যাহত করতে পারে। প্রথম খসড়া তৈরি করার সময় লক্ষ্য হল যতটা সম্ভব শব্দ বের করা, এবং এটি কীভাবে পড়বে তা নিয়ে চিন্তা না করা। শুরুতে হাতে থাকা বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত যা আপনি ভাবতে পারেন কেবল তা লিখুন।
খসড়া তৈরি করার পর সম্পাদনা করুন।সবশেষে, প্রুফরিডিং করুন। সকল টাইপিং মিসটেক সংশোধন করুন। এছাড়া পোস্টে ছবি যোগ করা বা ভিডিও যুক্ত করা এসকল বিষয় প্রুফরিডিং পর্যায়ে এসে করুন।
৬। আপনার ব্লগে সঠিক কি- ওয়ার্ডের ব্যবহার সার্চ ইঞ্জিনে রাঙ্কিং এর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আপনার প্রকাশ করা প্রতিটি পোস্টের জন্য কিছু নির্দিষ্ট প্রধান কীওয়ার্ড সিলেক্ট করুন।কীওয়ার্ডগুলো এমন কিছু হওয়া উচিৎ যা সচরাচর Google-এ প্রচুর অনুসন্ধান করা হয়।
সর্বশেষ, লেখাটির শেষে এমন ভাবে উপসংহার লিখুন যাতে পাঠক আপনার লেখনী দ্বারা অনুপ্রাণিত হন। আপনার সম্পূর্ণ লেখাটির সারাংশ মোটিভেশনাল এন্ডিং আকারে লেখার শেষে তুলে ধরুন। এতে পাঠকের আপনার প্রতি বিশ্বাস তৈরি হবে এবং উনি আপনার পরবর্তী ব্লগ গুলোর প্রতিও আকর্ষিত হবেন।
- মোশন গ্রাফিক্স এ ক্যারিয়ার এবং ভবিষ্যৎ
- ডিজিটাল মার্কেটিং কি? বর্তমানে ডিজিটাল মার্কেটিং এর চাহিদা
- কিভাবে হবেন একজন সফল ফ্রিল্যান্সার?
- এফ-কমার্স মার্কেটিং কি? মার্কেটপ্লেসে এফ-কমার্স মার্কেটিং এর গুরুত্ব